গুরুদাসপুর(নাটোর)প্রতিনিধিঃ

গুরুদাসপুর বিয়াঘাটে পুকুর থেকে ২৮ লাখ টাকার মাছ লুট হয়েছে।৫আগস্ট ২০২৫ সালের পর গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম অঞ্চলে অসাধু কিছু রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে অপরাধ ও চুরির ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি গুরুদাসপুরের বিয়াঘাটে চাষী আরফানের পুকুর থেকে ২৮ লাখ টাকার মাছ লুটের ঘটনা এরই একটি নির্মম উদাহরণ। এই ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির কিছু সাবেক নেতার নাম উঠে আসায় জনগণের মনে এক গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনা স্পষ্ট করে যে, বিএনপির সাবেক কিছু অসাধু নেতা রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সম্পদ লুটপাটে লিপ্ত হয়েছে। চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাছ চুরি এবং দুর্নীতির মাধ্যমে তারা জনগণকে জিম্মি করে ফেলছে। অথচ এই ধরনের কর্মকাণ্ড বিএনপির নীতি-আদর্শ এবং ৩১ দফা ঘোষণার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তারেক রহমান যে সুশাসন, স্বচ্ছতা এবং জনগণের কল্যাণের কথা বলেছেন, এই অসাধু নেতাদের কার্যকলাপ সেই নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত।

এ ধরনের অপরাধ সাধারণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ। পুকুর চুরি, মাছ লুট, জমি দখল, চাঁদাবাজি—এসবই ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে চলে আসছে এবং এসব অপরাধের পেছনে আরও শক্তিশালী ব্যক্তিরা রয়েছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা, যারা নিজেদের আড়ালে রেখে এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত। পুলিশ এবং প্রশাসন যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ করে, তবে এসব অপরাধের মূল হোতাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

চাষী আরফানের ঘটনা প্রমাণ করে, কীভাবে সাধারণ পরিশ্রমী মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক পরিচয়ের দোহাই দিয়ে চাঁদা দাবি করা, পুকুরের পাহারাদারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা, সিসিটিভি নষ্ট করা—এসব কাজ প্রমাণ করে যে, অপরাধীরা রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই ধরনের ঘটনা শুধু একজন চাষীর ক্ষতি করে না, বরং পুরো এলাকার নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যদি প্রশাসন এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তবে এই প্রবণতা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে এবং সাধারণ মানুষ আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রামের প্রশাসনের কাছে দাবি এই চিহ্নিত অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক। পাশাপাশি, যারা রাজনৈতিক দলকে ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, মাছ চুরি, জমি দখল এবং দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিএনপির প্রকৃত নেতৃত্বকেও এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে, যাতে তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়।

জনগণের সম্পদ রক্ষায় আমরা প্রশাসনের দ্রুত, কার্যকর এবং কঠোর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করি। সাধারণ মানুষকে সংগঠিত হয়ে এই অসাধু শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই, যাতে আমাদের পরিশ্রমের ফসল আর কখনোই এই অপরাধীদের হাতে লুট হয়ে না যায়। অপরাধীদের যত বড় ক্ষমতাশালী হোক না কেন, জনগণের সম্মিলিত প্রতিবাদই পারে তাদের থামাতে। এখন সময় এসেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে একসঙ্গে চলার।